• রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন

শ’খানেক সংযোগে চলছে কেশবপুর ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ

উৎপল দে,কেশবপুর (যশোর) / ২২০ বার দেখা হয়েছে
সর্বশেষ : বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫

দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা যশোরের কেশবপুর উপজেলার কেশবপুর ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি বহু দিন যাবত জরাজীর্ণ অবস্থায়। স্মার্টফোন, মুঠোফোন, ব্রড ব্যান্ড  ওয়াই ফাই এর যুগে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে কেশবপুরের ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি। মোবাইল ফোনের যুগে ধীরে ধীরে গ্রাহক সংখ্যা কমার সাথে সাথে কমেছে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সংখ্যাও। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। হাতেগোনা কয়েকটি সরকারী ও প্রাইভেট অফিস ছাড়া এখন আর কেউ এ প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহণ করেন না। কেশবপুরে ২০০০ সালে টেরিফোনের রেজ্ঞ ছিল ৩০০ এবং ২০০১ সালে তা বেড়ে ৪০০ লাইনে উত্তীর্ণ হয়। কেশবপুর শহরে নতুন গ্রাহক তৈরিতে প্রতিষ্ঠানের তৎপরতাও চোখে পড়ে না। বর্তমানে ওই অফিসে ২জন কর্মরত রয়েছেন। একজন অফিস সহকারি অন্যজন বার্তাবাহক।
সরেজমিনে বুধবার শহরে মাইকেল গেট সংলগ্ন অবস্থিত কেশবপুর ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জে দেখা যায় অফিসের দুইজন বসে আছে। জমির পরিমাণ ৮৫ শতক।
গতবছর বন্যায় অফিসের ভিতর পানি উঠে। এক্সচেঞ্জের ভিতরে থাকা ঘরগুলো স্যাঁতসেঁতে, প্লাস্টার গুলো খসে পড়ছে। একটা এসি নষ্ট। অফিসের পিছনে পানিবদ্ধ। গ্রাহকদের চাপ নেই বললেই চলে। অফিসের চারিপাশে অপরিষ্কার। কেশবপুরে মাত্র ১১০ জন গ্রাহককে এ টেলিফোন সেবা প্রদান করা হচ্ছে। যদিও এক সময় ৪০০ জন গ্রাহক টেলিফোন সেবা পেতো বলে জানা গেছে। বর্তমানে তা মাত্র ১১০ দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠানে সংযোগ দেওয়া।
গ্রাহকদের চাপ নেই। টেলিফোনের সংযোগ ফি ৩০০ টাকা,মাসিক ১৭৩ টাকা মিনিমাম চার্জ ও টেলিফোন টু টেলিফোন ফ্রি। টেলিফোন টু মোবাইল ভ্যাট বাদে ৫২ পয়সা খরচ।
কেশবপুরের এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, ভাল সেবা না পেয়ে অনেক আগেই সংযোগ বিচ্ছিনের আবেদন করেছি তবুও আমার বিল আসে,যেটা দুঃখ জনক।
কেশবপুর ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জের দায়িত্বরত অফিস সহকারি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন বর্তমানে ১১০ টি সংযোগ আছে।গ্রাহক বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। গ্রাহকদের মাঝে সুবিধাগুলো তুলে ধরছি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর...