যশোরের কেশবপুরে খ্রিস্টান মিশনের হোস্টেলে আদিবাসী ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলা দলিত পরিষদ। শুক্রবার সকালে শহরের শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা দৌলত বিশ্বাস চত্বরে ওই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে উপজেলা দলিত পরিষদের সভাপতি সুজন দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, উপজেলা দলিত পরিষদের স¤পাদক মিলন দাস, সহস¤পাদক শংকর দাস, উপজেলা খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি অসীম সরকার ও পরিত্রাণের প্রকল্প সমন্বয়কারী যোসেফ সরকার। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মিরাজুল ইসলাম ও মাসফি চৌধুরী অরিন, সাংবাদিক শামীম আখতার মুকুল, নারী নেত্রী সুফিয়া পারভিন শিখা, সমাজকর্মী তপন বালা, প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা স¤প্রতি (১৪ মার্চ) কেশবপুর সাহাপাড়ার খ্রিস্টান মিশনে রাজেরুং ত্রিপুরা (১৫) নামে আদিবাসী এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি জানান। বক্তাদের দাবি, ওই স্কুলছাত্রীকে নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। এছাড়া দেশব্যাপী অব্যাহতভাবে নারী-শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ মার্চ ওই খ্রিস্টান মিশনারী ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকালে তারাও রাজেরুং ত্রিপুরার মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি জানান। সে সময় ওই মিশন থেকে তিন আদিবাসী ছাত্রী রেবিকা ত্রিপুরা, জেসিন্তা ত্রিপুরা ও স্বস্তিকা ত্রিপুরাকে পুলিশের মাধ্যমে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃত অবস্থায় স্কুলছাত্রী রাজেরুং ত্রিপুরাকে উদ্ধার করে পুলিশ। রাজেরুং ত্রিপুরা কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার কালুপাড়া গ্রামের রমেশ ত্রিপুরার মেয়ে। রাজেরুং ত্রিপুরা কেশবপুর শহরের সাহাপাড়ার খ্রিস্টান মিশনে থেকে পড়াশোনা করতো।