যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তবে এ অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ঐ ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার।
জানাগেছে গত ২৭ মার্চ সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে হতদরিদ্র ২ হাজার ২৫৩ জন মানুষের জন্য ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হয়েছে। এর আগে ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলার সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে সাড়ে ২২ মেট্রিক টন অর্থাৎ ৪৫১ বস্তা চাল উত্তোলন করা হয়।
এবিষয়ে ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার মানষ কুমার মজুমদার বলেন সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিএফ এর চাল চেয়ারম্যান সাহেব আত্মসাত করেনি। পরিষদের সচিব অপূর্ব কুমার পাল ও ইউপি সদস্য সুভাষ দেবনাথ সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত থেকে চাল বিতরণ করেছে। ওই দিন খাদ্য গুদাম থেকে চাল পরিষদে পৌছুতে বিলম্ব হয়েছিল। তাই তারা আত্মসাত বলে অভিযোগ তুলেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বলেন, ৪৫১ বস্তা চালের মধ্যে দুই মিনি ট্রাক যোগে ৪শ বস্তা চাল আগে পরিষদে পাঠানো হয়। গোডাউনে চাল না থাকায় বাকী ৫১ বস্তা চাল আলমসাধুতে পরিষদে পৌছাতে একটু বিলম্ব হওয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মীরা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্নসাতের অভিযোগ তুলে অপপ্রচার করতে থাকে এবং সেই খবর ইউটিউব চ্যানেলে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমো প্রচার করে চেয়ারম্যানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে বলে তিনি দাবী করেন। তিনি আরো বলেন কতিপয় নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন যাবত ২নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় দারুণ ভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করে চলেছে। ইতিমধ্যে পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। পরে স্থানীয় জনসাধারণ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় তালা খুলে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন সাংবাদিকদের জানান ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে পাতানো নির্বাচনের চেয়ারম্যান। তাদের আর পরিষদের চেয়ারম্যান থাকার অধিকার নেই তাকে অব্যহতি দেওয়া জরুরী।