যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট উত্তরপাড়া (মোড়ল পাড়া) বায়তুন নুর জামে মসজিদে মিসেস গুলশান আরা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক মহতী ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ আয়োজনে স্থানীয় রোজাদার, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন।
ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনজেআর ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ও মিসেস গুলশান আরা বেগমের কনিষ্ঠ পুত্র মোঃ ইলিয়াস বিন কাশেম রাসেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে মোঃ ইলিয়াস বিন কাশেম রাসেল বলেন, “আমার মা মিসেস গুলশান আরা বেগম সবসময় মানবতার সেবা ও জনকল্যাণে কাজ করে গেছেন। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। ভবিষ্যতেও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থাকতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “রমজান আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের মাস। আমরা যদি আমাদের সম্পদ ও ভালোবাসা একে অপরের সাথে ভাগ করে নেই, তবে সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠিত হবে।”
ইফতার মাহফিলের পূর্বে উপস্থিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে ইসলামিক আলোচনায় রমজানের ফজিলত ও আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। আলোচকগণ বলেন, রমজান শুধু সংযমের মাসই নয়, এটি পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও দানশীলতার শিক্ষা দেয়। ইফতারের সময় হলে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা একসঙ্গে দোয়া করেন এবং ইফতার গ্রহণ করেন। দোয়া পরিচালনা করেন মসজিদের খতিব, যিনি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও দেশের সমৃদ্ধির জন্য মোনাজাত করেন।
এ আয়োজনে স্থানীয় শিশু-কিশোর, প্রবীণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। ইফতারের জন্য সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে ছিল খেজুর, ফল, পিয়াজু, বেগুনি, ছোলা, মুড়ি, জিলাপি ও শরবত।
মিসেস গুলশান আরা ফাউন্ডেশন এরই মধ্যে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য খাদ্য বিতরণ, শিক্ষা সহায়তা, চিকিৎসা সহযোগিতা ও বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করছে এই ফাউন্ডেশন। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেন আয়োজকরা।
স্থানীয়রা এই আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, মিসেস গুলশান আরা ফাউন্ডেশন ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবকল্যাণমূলক কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।