“এসো দেশ বদলেই, পৃথিবী বদলাই” এই স্লোগানে বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের আয়োজনে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভাগীয় তায়কোয়ানডো ওপেন পুমসে চ্যাম্পিয়নশিপ । রাজশাহী জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক সহযোগিতায় শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে জেলা জিমনেসিয়ামে দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রাষ্ট্রীয় সনদপ্রাপ্ত কৃতি ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু।
রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানডো এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুমিত হাসানের সঞ্চালনায়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী তায়কোয়ানডো দোজাংয়ের সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন, রাজশাহী জেলা ক্রীড়া অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজশাহী তায়কোয়ানডো দোজাংয়ের সভাপতি সেকেন্দার আলী, বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের উপদেষ্টা প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের এডহক কমিটির সদস্য আরিফ রাব্বানী, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক এটিএম গোলাম মাহবুব ও রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানডো এসোসিয়েশনের সহকারী প্রশিক্ষক ইহতেশামুল আলম,মাসুদ রানা,আসিক মাহমুদ প্রমুখ।
প্রতিযোগিতা শেষে রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানডো এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুমিত হাসান বলেন বিভাগীয় তায়কোয়ানডো ওপেন পুমসে চ্যাম্পিয়নশিপে এত বিপুলসংখ্যক ক্ষুদে ও তরুণ খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ আমাদের জন্য সত্যিই অনুপ্রেরণার। আমরা চাই রাজশাহীসহ সমগ্র বাংলাদেশে তায়কোয়ানডো আরও প্রসারিত হোক। নতুন প্রজন্ম খেলাধুলায় এগিয়ে আসুক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের পতাকা গর্বের সঙ্গে উড়াক। বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশন, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা এবং সকল শুভানুধ্যায়ীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ,যাদের আন্তরিক সহযোগিতায় এই আয়োজন সফল হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের প্রতিযোগিতা আমাদের ভবিষ্যৎ চ্যাম্পিয়নদের তৈরি করবে।”
রাজশাহী তায়কোয়ানডো দোজাংয়ের সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন বলেন প্রথমেই আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনকে, যারা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আমাদের খেলোয়াড়দের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাই, যাদের সহযোগিতা ছাড়া আজকের এই আয়োজন সম্ভব হতো না। এই ধরনের প্রতিযোগিতা শুধু খেলোয়াড়দের প্রতিভা বিকাশই করে না, বরং নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলার প্রতি অনুপ্রাণিত করে। আমি আশা করি, ভবিষ্যতেও ফেডারেশন ও ক্রীড়া সংস্থা আমাদের পাশে থেকে আরও বড় আয়োজনের পথ সুগম করবে।
বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় এই ধরনের প্রতিযোগিতা তায়কোয়ানডো খেলাকে সারাদেশে আরো জনপ্রিয় করে তুলবে এবং নতুন প্রজন্মকে তায়কোয়ানডো খেলাধুলায় উৎসাহিত করবে। আয়োজকরা জানান, রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণে চ্যাম্পিয়নশিপকে কেন্দ্র করে ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসা প্রায় ৩০০ প্রতিযোগীরা অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় ক্ষুদে থেকে শুরু করে কিশোর কিশোরী এবং তরুণ খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করে। সন্ধ্যায় প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসকের এনডিসি সহ ক্রীয়াঙ্গনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।