২৪ জানুয়ারি মধুকবির জন্মভিটা সাগরদাঁড়িতে হবে বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপর ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত নানা আয়োজনে চলবে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী সাড়ম্বড়ে উদযাপনে যশোরে প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টায় কালেক্টরেট সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে মধুমেলার প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে যশোর জেলা প্রশাসন। সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরের উপপরিচালক মোঃ রফিকুল হাসান।
সুষ্ঠুভাবে মেলা উদযাপনে সাধারণ কমিটি, মেলা ব্যববস্থাপনা,মঞ্চ সাজসজ্জা ও পরিচালনা উপকমিটি, অর্ভ্যথনা ও আপ্যয়ন উপকমিটি, আলোচনা, ফোল্ডার ও দাওয়াত কার্ড তৈরী উপকমিটি, স্মরণিকা প্রকাশ উপকমিটি, অর্থ উপকমিটি, আইন শৃংখলা উপকমিটি, সাংস্কৃতিক উপকমিটি এবং মাঠ ব্যবস্থাপনা উপকমিটি গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়। পরবর্তীতে এই সব কমিটির নির্বাচিত সদস্যগণ স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করে মেলা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যৌথবাহিনী যশোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর মাসুদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) এস এম শাহীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) খালেদা খাতুন রেখা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন সরকার, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইসহক, যশোর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য ও যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান, জেলা জামায়াতের সুরা সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী এনামুল হক, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।

আলোচনায় অংশ নেন ডক্টর মোস্তাফিজুর রহমান, সাংবাদিক আনোয়ারুল কবির নান্টু, জুয়েল মৃধা, তোহিদ মনি, তৌহিদ জামান, আকরামুজ্জামান, মনিরুল ইসলাম, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসআর সাঈদ, কেশবপুর উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু, নজরুল সাহিত্য পরিষদের সভাপতি তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় মধুমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্তবর্তীকালীণ সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে প্রধান অতিথি করা, আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ, মধ্যস্বত্বভোগীদের বাদ দিয়ে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের মেলার স্টল প্রদান, জুয়া ও অশ্লীল কর্মকান্ড না করা, যানজট নিরসন, সবার অংশগ্রহণে স্মরণযোগ্য অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নানা বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।